সম্প্রতি বিরাট কোহলি কথা বললেন আইপিএলে নিজের আরসিবিতে কেরিয়ারের শুরুর সময় নিয়ে। বিরাট কোহলি যখন ২০০৮ সালে আরসিবিতে খেলতে এসেছিলেন তখন সেই দলে ছিল অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো তারকারা। ফলে তাঁদের কাছে কোহলি নেহাতই শিশু, স্রেফ একটা অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতে আসা অধিনায়ক।
ড্রেসিংরুমে ঢুকে মনে হয়েছিল স্বপ্নের জগৎ
জিও স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেই সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে বিরাট কোহলি জানান, ‘আমি যখন প্রথমবার আইপিএলে আসি, আমি পুরো অবাক হয়ে গেছিলামষ কারণ আমি তাঁর আগে কাউকে চিনতাম যা জাহির খান আর যুবরাজ সিং ছাড়া, কারণ ওরা নর্থ জোন থেকে ছিল। এরপর ড্রেসিংরুমে অনিল কুম্বলে, রাহুল দ্রাবিড়কে দেখে মনে হচ্ছিল যেন স্বপ্নের জগতে রয়েছি। কিন্তু ওই উত্তেজনার সঙ্গেই চাপও তৈরি হয়েছিল। সেই চাপ প্রথম মরশুমে আমায় ঘিরে ধরেছিল, তবে আমার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ছিল ’।
ব্যাটিং পজিশনের জন্যই শুরুতে রান পাননি
আরসিবিতে নিজের ব্যাটিং পজিশন স্থির হয়ে যেতেই তাঁর খেলা ভালো হতে থাকে। সেকথা বলতে গিয়েই কোহলি বলছিলেন, ‘প্রথম তিন বছরে আরসিবিতে আমি টপ অর্ডারে ব্যাট করার তেমন সুযোগ পাইনি, আমি লোয়ার অর্ডারে ব্যাট পেতাম। তাই আইপিএলে শুরুর দিকে আমি সেভাবে নজর কাড়তে পারিনি। ২০০৯ মরশুমটা একটু ভালো ছিল, সেই বছরের পিচ আমায় খেলার সঙ্গে মিলে গেছিল। সেবার বল ভালোভাবে ব্যাটে আসছিল, আমিও ভালো শট খেলতে পারছিলাম, ওটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বছর ছিল। ২০১০ সাল থেকে আমি ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করা শুরু করি আর ২০১১ সাল নাগাদ আমার ব্যাটিং পজিশন তিন নম্বরে স্থির হয়ে যায়, সেখান থেকেই আমার আইপিএলের যাত্রায় এক নতুন পথ খুলে গেছিল ’।
শ্রেয়সকে প্রশংসা করে জানালেন নিজের মাইন্ডসেটের কথা
এরপর কোহলি আরও জানান, ‘যদি বিষয়গুলোয় লক্ষ্য করা যায়, তাহলে দেখা যায় চ্যাম্পিনয়ন্স ট্রফির একটা ম্যাচেও শ্রেয়স আইয়ার চার্জ নিয়ে ব্যাটিং করছিল, এখানে ইগোর কোনও ব্যাপার নেই। সেই সময় আমি যদি ছন্দে থাকতাম, তাহলে আমি নিজেই কাজটা করতাম। অন্য কেউ যদি খেলার কন্ট্রোল পেয়ে যায়, তাহলে সেও নেতৃত্ব দিতে পারে ব্যাটিংকে। এখানে কাউকে আড়াল করার বা কাউকে ছাপিয়ে যাওয়ার ব্যাপার নেই। বা নিজেরও কখনও মনে হয় না যে এই দক্ষতাটা আমার মধ্যে নেই। ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝা সব সময়ই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, আর সেটা নিয়ে আমি গর্বিত বোধ করি। আমি পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পছন্দ করি ’।