পর্যটন সবসময়ই নতুন জায়গা আবিষ্কার, বিভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা অর্জন এবং ভ্রমণ উপভোগ করার একটি মাধ্যম। কিন্তু, সাম্প্রতিক বছরে পর্যটনের একটি অনন্য রূপ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, যার নাম ডার্ক ট্যুরিজম। ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্র, দুর্যোগপূর্ণ এলাকা, ভূতুড়ে স্থান এবং মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য স্থানে ভ্রমণ করাকেই ডার্ক ট্যুরিজম বলে।
ভারতে ডার্ক ট্যুরিজমের প্রতি নতুন জেনারেশনের আগ্রহ কেন বাড়ছে
আজকাল, নতুন জেনারেশন অর্থাৎ জেড মিলেনিয়ালরা আরও গভীর এবং বাস্তবসম্মত অভিজ্ঞতা চায়। তাঁরা এমন জায়গাগুলো পরিদর্শন করতে পছন্দ করেন যেগুলো কেবল পর্যটন কেন্দ্রই নয় বরং ইতিহাসের বাস্তবতাও তুলে ধরে। তাই গত কয়েক বছর ধরে, পর্যটনের এই ধরণটি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্র, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বা ভূতুড়ে স্থান যাই হোক না কেন, অন্ধকার পর্যটন মানুষকে অতীতের ঘটনা এবং তাদের প্রভাব বোঝার সুযোগ দেয়।
ভারতের কিছু বিখ্যাত ডার্ক ট্যুরিজম স্থান
- জালিয়ানওয়ালাবাগ, অমৃতসর - ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী, এই স্থানটি আমাদের নিরীহ মানুষের আত্মত্যাগ এবং ব্রিটিশ শাসনের বর্বরতার কথা মনে করিয়ে দেয়।
- সেলুলার জেল, পোর্ট ব্লেয়ার - কালাপানি নামে পরিচিত, এই জেলটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নৃশংসতা এবং সংগ্রামের গল্প বলে।
- ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, কলকাতা - এই অসাধারণ স্মৃতিস্তম্ভটি ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতীয়দের যে-কষ্টের মুখোমুখি হয়েছিল, তার স্মৃতিচারণ করে।
- কুলধারা , জয়সলমীর - একটি রহস্যময় এবং জনশূন্য গ্রাম যা ঊনবিংশ শতাব্দীতে রাতারাতি এর বাসিন্দারা পরিত্যক্ত করে দিয়েছিল। কথিত আছে যে এই গ্রামটি অভিশপ্ত।
- রূপকুণ্ড হ্রদ, উত্তরাখণ্ড - কঙ্কাল হ্রদ নামে বিখ্যাত। এখানে হাজার হাজার বছরের পুরনো মানব কঙ্কাল পাওয়া যায়, যার রহস্যময় মৃত্যু আজও একটি ধাঁধা হিসেবে রয়ে গিয়েছে।
- ডুমাস সৈকত, সুরাট - আরব সাগরের তীরে অবস্থিত, এই সৈকতটি তার কালো বালি এবং ভৌতিক ঘটনার জন্য পরিচিত।
- শনিওয়ারওয়াড়া, পুনে - পেশোয়াদের ঐতিহাসিক দুর্গ, যেখানে করিডোরগুলিতে নারায়ণরাও পেশোয়ার আত্মার আর্তনাদ শোনা যাওয়ার গল্প এখনও শোনা যায়।