রাজস্থানের বেপরোয়া এসইউভি গাড়ির ধাক্কায় ২ পথচারীর মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। অভিযোগ, গাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তার জেরেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরের নাহারগড় এলাকায়। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাল শতাধিক হিন্দুকে খুন করা রোহিঙ্গা জঙ্গি!)
আরও পড়ুন-US: ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলেই ভিসা বাতিল! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে ভারতীয় পড়ুয়ারা
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে অভিযুক্ত গাড়িচালক উসমান মদ্যপ অবস্থায় প্রায় ৭০-৮০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়িটি দ্রুতগতিতে এমআই রোড থেকে একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢোকার পর ১০ জন পথচারীকে একের পর এক ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জন পথচারীর। আট জন আহত হন। পাশাপাশি গাড়িতেও ধাক্কা মারে ওই মদ্যপ গাড়ি চালক। অভিযোগ, এরপর চালক উসমান বেগতিক দেখে আরও জোরে গাড়ি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। সেই সময় স্থানীয় এক বাসিন্দা স্কুটার নিয়ে তাঁর পিছনে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। তবে জানা গিয়েছে, গাড়ি থামানোর পর উসমান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে নাহারগড় থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।আর এই গোটা ভিডিও ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। (আরও পড়ুন: শুল্ক যুদ্ধের আবহে স্প্রিংয়ের মতো লাফিয়ে উঠল শেয়ার বাজার, আজ কেন উঠল সেনসেক্স?)
অন্যদিকে, খবর পেয়েই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নাহারগড় থানার পুলিশ।তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অতিরিক্ত ডিসিপি (উত্তর) বজরং সিং বলেন, 'দুর্ঘটনায় দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নাম অবদেশ পারিক (৩৭) এবং মমতা (৫০)। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।' পুলিশ আরও জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অভিযুক্ত চালক অতিরিক্ত মদ্যপান করে ছিলেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের দেখতে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং কিষাণপোলের বিধায়ক আমিন কাগজি হাসপাতালে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আরাকান আর্মির 'ফাঁদে' বাংলাদেশি
এদিকে, রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ঘটনাটিকে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক বালমুকুন্দ আচার্য জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে তিন বছরের একটি শিশুও রয়েছে। তিনি এলাকায় আরও চেকপোস্ট বসানোর দাবি জানিয়েছেন।