পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশে পরিষেবা প্রদান শুরু করে দিল মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেস এক্স- এর সহযোগী স্যাটালাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থা স্টারলিংক। আজ (বুধবার - ৯ এপ্রিল, ২০২৫) থেকে বাংলাদেশে এই পরীক্ষামূলক পরিষেবা শুরু করা হল।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়েছে। মহম্মদ ইউনুসের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও এ নিয়ে ব্যাপক প্রচার করেছে। তাদের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে - স্টারলিংক-এর সঙ্গে বিশেষ সমঝোতা বা যৌথ নথিভুক্তিকরণ করেছে 'বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ' বা বিডা। গত রবিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সেকথা জানিয়েছিলেন বিডা-র কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
সেই সমঝোতা অনুসারে, বর্তমানে ঢাকায় আয়োজিত 'বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন'-এর ভেন্যু বা আয়োজনস্থলকেই বেছে নেওয়া হয়েছে এই পরীক্ষামূলক পরিষেবা প্রদানের জায়গা হিসাবে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে - এদিন সকালে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে তাদের পরীক্ষামূলক পরিষেবা চালু করে স্টারলিংক কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, এই হোটেলেই চলছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন।
জানা গিয়েছে, আপাতত এই হোটেল চত্বরের সর্বত্রই স্টারলিংক-এর ইন্টারনেট পরিষেবা সচল রয়েছে। হোটেলে উপস্থিত সকলেই সেই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারছেন। এমনকী, এই আয়োজনের যত সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে, সেগুলির জন্যও স্টারলিংক-এরই ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করা হচ্ছে। পরীক্ষামূলকভাবে হলেও এই ব্যবস্থাপনা বাংলাদেশে চালু করতে পারায় খুশি মহম্মদ ইউনুসের প্রশাসন।
যদিও এর অর্থ মোটেও এই নয় যে একটিমাত্র হোটেলে পরীক্ষামূলক পরিষেবা দিয়েই বাংলাদেশজুড়ে বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করতে পারবে ইলন মাস্কের সংস্থা। সেই প্রক্রিয়া চালু করতে হলে স্টারলিংক-কে আরও একাধিক ধাপ পার করতে হবে।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম অনুসারে - স্টারলিংক-কে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সর্বত্র এবং সকলস্তরের মানুষের জন্য় পরিষেবা চালু করতে হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বা বিটিআরসি-এর থেকে ছাড়পত্র আদায় করতে হবে। একইসঙ্গে, নন-জিওস্টেশনারি অরবিট বা এনজিএসও-এর নীতিমালা সম্পূর্ণ মেনে লাইসেন্সও পেতে হবে মাস্কের সংস্থাকে। তবেই স্টারলিংক-কে বাংলাদেশে সার্বিকভাবে বাণিজ্যিক পরিষেবা প্রদানের অনুমতি দেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবারই বিডা-র কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার এবার মহাকাশ গবেষণার সঙ্গেও সরাসরি যুক্ত হতে চাইছে। এর জন্য তারা মার্কিন সংস্থা নাসা-র সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করার কথা ভাবছে। যদিও এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি হারুন। শুধু বলেন, অসামরিক ক্ষেত্রে এই গাঁটছড়া বাঁধা হবে। এবং নাসা-র সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হলেই সাংবাদিকদের এই বিষয়ে বিস্তার তথ্য দেওয়া হবে।