সরকারি সম্পত্তি অপব্যবহারের অভিযোগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। জনসাধারণের সম্পত্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু কেজরিওয়াল নয়, প্রাক্তন আপ বিধায়ক গোলাপ চাঁদ এবং দ্বারকার বিজেপি কাউন্সিলর নীতিকা শর্মার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের হয়েছে। দিল্লি পুলিশ রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে এই বিষয়ক অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন-ইদে রাস্তায় নমাজ পড়লেই কড়া শাস্তি, গ্রেফতারি থেকে হতে পারে পাসপোর্ট বাতিল
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ২০১৯ সালের। অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ আরও বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। এই মামলার শুনানি হবে ১৮ এপ্রিল। ১১ মার্চ দিল্লি আদালত রাজধানীজুড়ে বড় বড় হোর্ডিং লাগানোর জন্য জনসাধারণের তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে আপ প্রধান এবং তাঁর সহকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেয়। পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, দিল্লি প্রিভেনশন অফ ডিফেসমেন্ট অফ প্রপার্টি আইন, ২০০৭ এর ধারা ৩ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, যা জনসাধারণের সম্পত্তি আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে দ্বারকা দক্ষিণ থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়।অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নেহা মিত্তলের সামনে দিল্লি পুলিশের আইনজীবী বলেন, দ্বারকা দক্ষিণ পুলিশের এসএইচও-এর কাছে দাখিল করা অভিযোগের মূল কপিটি পাওয়া যায়নি।
এর আগে ১১ মার্চ আদালত জানিয়েছিল, কেজরিওয়াল, গুলাব চাঁদ এবং নীতিকা শর্মা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে জরিমানা সহ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দিল্লি পুলিশকে বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দোষীদের সম্পর্কে খতিয়ে দেখতে বলেছেন।আদালত নির্দেশ দিয়েছে, হোর্ডিংগুলি কোথা থেকে ছাপা হয়েছিল, কে এই হোর্ডিংগুলি লাগিয়ে ছিলেন, কার নির্দেশে হোর্ডিংগুলি লাগানো হয়েছিল তা তদন্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন-ইদে রাস্তায় নমাজ পড়লেই কড়া শাস্তি, গ্রেফতারি থেকে হতে পারে পাসপোর্ট বাতিল
এর আগে বারবার দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। ইডি কেজরিওয়ালকে আর্থিক তছরূপ মামলায় ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর সমন পাঠায়। প্রথম সমন উপেক্ষা করে মধ্যপ্রদেশের সিংগ্রাউলিতে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে যোগ দেন কেজরিওয়াল। এরপর ইডি ২১ ডিসেম্বর এবং ৩ জানুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরিওয়ালকে তলব করে। সেগুলিও এড়িয়ে যান তিনি। এরপর আরও চারবার সমন পাঠানো হলেও কেজরিওয়াল উপস্থিত হননি। সমন এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে ইডি কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করে।আবগারি মামলার সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে। তিনিই ছিলেন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি ক্ষমতায় থাকাকালীন ইডির হাতে গ্রেফতার হন। দিল্লি হাইকোর্ট কেজরিওয়ালের কাছে জারি করা সমনকে চ্যালেঞ্জ করে তার পিটিশনে গ্রেফতার থেকে সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করার পরে ইডি এই পদক্ষেপ নিয়েছিল। এবার আবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ। কী হয় এবার, সেটাই দেখার।