দুরপাল্লার ট্রেনে ট্রাভেল ব্লগারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে একদল প্যান্ট্রি কর্মীর বিরুদ্ধে। হেমকুন্ত এক্সপ্রেসে সফরের সময় জিনিসের মূল্য অনুমোদিত দামের চেয়ে বেশি হওয়ায় রেলমদত অ্যাপে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অভিযোগ, তারপরই চলন্ত ট্রেনে তাঁর ওপর চড়াও হয় একদল প্যান্ট্রি কর্মী। আর এই ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ওই যাত্রী তথা ট্রাভেল ব্লগার বিশাল শর্মা।
জানা গেছে, ৬ মে ট্রাভেল ব্লগার বিশাল শর্মা রিষিকেশ থেকে শ্রী মাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা যাওয়ার পথে হেমকুন্ত এক্সপ্রেসের থার্ড এসি কোচে চড়েন। ট্রেনের প্যান্ট্রি স্টাফ তাকে ২০ টাকা দামের জলের বোতল দেন, অথচ আইআরসিটিসি অনুমোদিত রেলনীড়ের দাম ১৫ টাকা। তিনি অভিযোগ করলে তাঁকে জানানো হয়, ‘এখন এটাই পাওয়া যাবে স্যার।' এছাড়া, ১০ টাকার কফি ২০ টাকায় ও ৪০ টাকার নুডলস ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। তাই অ্যাপ মারফত অভিযোগ জানান বিশাল।এরপর রাতে তাঁর বার্থে শুয়েছিলেন বিশাল শর্মা। অভিযুক্তরা সকলেই প্যান্ট্রি কর্মী বলে দাবি অভিযোগকারী যাত্রীর।
আরও পড়ুন-'যদি আমার জীবনও...,' দেশের জন্য যুদ্ধের ময়দানে যেতে প্রস্তুত লালু-পুত্র
ভিডিতে দেখা গেছে, যখন বিশাল তাঁর উপরের বার্থে বিশ্রাম নিচ্ছেন, তখনই একদল লোক এসে তাঁকে নীচে নেমে যেতে বলে। তাদের মধ্যে একজন, সবুজ পোলো শার্ট পরা ছিলেন। কিন্তু বিশাল তাঁর সিট থেকে নিচে নামতে রাজি নাহলে একজন ব্যক্তি বার্থে উঠে পড়েন। এবং তাঁর পা ধরে টানেন। এরপর আক্রমণাত্মক হামলা চালায়। তারপর বিশাল চিৎকার করতে শুরু করেন। এই হামলার কারণে বিশাল শর্মা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিশাল।এক্স পোস্টে বিশাল লিখেছেন, 'এটি ভারতীয় রেলওয়ের থ্রি টিয়ার এসি-তে যাত্রী সুরক্ষা #লজ্জা। যখন আমি প্যান্ট্রি মারফৎ ট্রেনে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার অভিযোগ করি, তখন আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।' এরপরেই রেলওয়ে সেবা হ্যান্ডেল এক্সে জানিয়েছে, ক্যাটারিং কোম্পানির বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং জিআরপি কাঠুয়ায় একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। আইআরসিটিসি তাদের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে জানায় যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-'যদি আমার জীবনও...,' দেশের জন্য যুদ্ধের ময়দানে যেতে প্রস্তুত লালু-পুত্র
কিন্তু নেটিজেনরা রেলের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন এবং কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'অপরাধীদের হেফাজতে নেওয়া উচিত।অভিযুক্ত এবং ক্যাটারারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা উচিত এবং তাদের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত। মাত্র ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা যথেষ্ট নয়। যাত্রীদের নিরাপত্তার কী হবে? যদি একই ঘটনা অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গেও পুনরাবৃত্তি হয়?' আরেকজন মন্তব্য করেছেন, 'স্যার, থ্রি টিয়ার এসিতেও যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন যাত্রীরা কীভাবে নিরাপদ বোধ করতে পারে? একজন প্যান্ট্রি কর্মী রাতে একজন যাত্রীকে লাঞ্ছিনা করছেন! এর পরিণতি আরও খারাপ হতে পারত। দয়া করে ট্রেনে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।'