ওয়াকফ ইস্যুতে বাংলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ এবং আরও কয়েকটি জায়গায়। আর এবার ওয়াকফ ইস্যুতে হিংসার ঘটনা ঘটল ত্রিপুরা। বাঙালি অধ্যুষিত এই রাজ্যের উনাকোটি জেলার কৈলাশহরে এই হিংসার ঘটনা ঘটেছ বলে জানা গিয়েছে। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে একটি মিছিলের পরে এই হিংসার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হয়েছে অসম ট্রিবিউনের রিপোর্টে। এদিকে নর্থইস্ট টুডের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: মোক্ষম সময়ে খেল দেখাল আদানি, অন্ধকারে ডুবতে পারে বাংলাদেশ)
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ হিংসায় প্রাণ গেল ৩ জনের, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ
দাবি করা হয়েছে, এই হিংসায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য জখম হয়েছেন। জখম পুলিশকর্মীদের মধ্যে আছেন কৈলাশহরের এসডিপিও জয়ন্ত কর্মকার এবং ইন্সপেক্টর জিতেন্দ্র দাস। এছাড়াও একাধিক কনস্টেবল পাথরের আঘাতে জখম হয়েনছেন। এদিকে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওয়াকফ সংশোধনী আইন বিরোধী এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেস নেতা বদরুজ জামান। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির প্রধান তিনি। এদিকে হিংসা যাতে আরও না ছড়িয়ে পড়ে, এর জন্যে সেই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস, বিএসএফ এবং সিআরপিএফের জওয়ানদেরও মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে। ঘটনাস্থলে ছুটে যান ডিআইজি রথীনরঞ্জন দেবনাথ। (আরও পড়ুন: 'ISI-এর মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়ানোর ছক...', ইউনুসকে কড়া আক্রমণ)
জানা যায়, ওয়াকফ ইস্যুতে এই মিছিলকে ঠেকাতে পুলিশ ব্যারিকেজ বসিয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা সেই ব্যারিকেডের কাছে পৌঁছলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। পাথর ছুড়তে শুরু করে প্রতিবাদীরা। সেই সময় পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বল প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়। পরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ডিআইজি রথীনরঞ্জন বলেন, 'আমরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।' এদিকে আন্দোলনকারীদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'পুলিশ দিয়ে আমাদের ঠেকানো যাবে না। আমাদের দাবি ন্যায্য। গণতান্ত্রিক উপায়ে আমরা আমাদের প্রতিবাদ জারি রাখব।'