বাংলা বিধানসভায় যিনি উঠে দাঁড়াতেই দিদি ভয় পেয়ে যান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এভাবেই সম্মোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের এই একটা বাক্যেই বিজেপির অন্দরে তো বটেই, অন্যান্য দলেও আগামী নির্বাচনের সমীকরণ তৈরির কাজ অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রবিবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বিজেপির বিজয় সংকল্প সভায় বক্তব্য রাখেন অমিত শাহ। সেখানেই বক্তব্যের শুরুতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমজারকে সম্মোধন করেন তিনি। এর পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সম্মোধন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধু। বাংলা বিধানসভায় যিনি উঠে দাঁড়াতেই দিদি ভয় পেয়ে যান, এমন আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীজি।’ একথা বলতেই উৎসাহে হই হই করে ওঠে স্টেডিয়ামে থাকা কয়েক হাজার বিজেপি নেতাকর্মী। আর অমিত শাহের এই একটি লাইন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য রাজনীতির সমীকরণ অনেকটা নির্ধারিত করে দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্য বিজেপিতে এখনও নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা হয়নি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রায় ১ বছর ধরে জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। যা দলের নীতির পরিপন্থী। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সখ্য কারও অজানা নয়। তাই অমিত শাহের এদিনের মন্তব্যের পর ভোটের আগে রাজ্য সভাপতি বদলের জল্পনায় পূর্ণছেদ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করা থেকে সংগঠনের দায়িত্ব থাকবে সুকান্ত – শুভেন্দু জুটির ওপরেই। এদিন অমিত শাহের কথায় তা স্পষ্ট হয়ে গেল। এর ফলে বিরোধীদেরও ভোটের আগে ঘুঁটি সাজাতে সুবিধা হবে।