জাতীয় সড়কের পাশে ভাঙাড়ির দোকান থেকে উদ্ধার হল সবুজসাথীর সাইকেল। সাইকেল উদ্ধার করলেন বিডিও। ওদিকে প্রশাসনিক অভিযানের খবর পেয়ে দোকান ছেড়ে পালিয়েছেন দোকানমালিক। কী ভাবে সবুজসাথীর নতুন সাইকেল ভাঙাড়ির দোকানে এসে পৌঁছল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার পূর্ণিয়া মোড় এলাকার। বিহার - বাংলা সীমানা লাগোয়া ওই এলাকায় ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ভাঙাড়ির কারবার করেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মাঝহারুল হক নামে এক ব্যক্তি। সেখানেই সারি সারি সবুজ সাথীর নতুন সাইকেল সাজানো দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পৌঁছয় প্রশাসনের কানে। করণদিঘির বিডিওর নেতৃত্বে রাতেই ডালখোলা থানার পুলিশ পৌঁছয় সেখানে। সাইকেলগুলি উদ্ধার করে নিয়ে আসে তারা। ওদিকে প্রশাসনিক অভিযানের খবর পেয়ে দোকান ছেড়ে পালান দোকানদার। এর আগেও উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেই হাটে সবুজ সাথীর সাইকেল বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল।এই ঘটনার দায় প্রশাসনের একাংশের ঘাড়ে ঠেলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, প্রশাসনের কোনও কর্মীর মদত ছাড়া সবুজ সাথীর নতুন সাইকেল বিক্রি হয়ে যেতে পারে না। যারা এই কাজে যুক্ত তদন্ত করে তাদের বার করা উচিত।ওদিকে বিরোধীদের দাবি, ভোটবাক্স ভরতে ঋণের টাকায় বেলাগাম দান খয়রাতি করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে অপচয়ও হচ্ছে। প্রকৃত উপভোক্তাকে চিহ্নিত না করেই তুলে দেওয়া হচ্ছে প্রকল্পের সুবিধা। যার ফলে সাধারণ মানুষের করের টাকায় কেনা সাইকেল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে খোলা বাজারে।ওদিকে এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সবুজ সাথীর নতুন সাইকেল বিক্রি হতে সাধারণত দেখা না গেলেও পুরনো সাইকেল ভাঙাড়িদের কাছে রোজ বিক্রি হচ্ছে। ২০০ - ৪০০ টাকায় তা কিনে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।