'রেনবো জেলি'র পর ফিরছে ঘোতন, পপিন্সরা। জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে বড়পর্দায় আসতে চলেছে অনির্বাণের 'পক্ষীরাজের ডিম'। যেখানে বিজ্ঞানীর চরিত্রে দেখা মিলবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যের। তবে শুধু অনির্বাণ নন, এই ছবিতে রয়েছেন 'রূপকথা'-র আরও এক কারিগর শ্যামল চক্রবর্তী। এর আগে পরিচালক অনির্বাণের 'বল্লভপুরের রূপকথা' ছবিতে 'মনোহর'-এর চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন শ্যামল। এবার সেই অনির্বাণের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নেবেন তিনি।
১৬ মে শুক্রবার প্রযোজনা সংস্থার তরফে সামনে আনা হয়েছে 'পক্ষীরাজের ডিম' ছবির পোস্টার। ছবির পোস্টারে অনির্বাণের সঙ্গে দেখা মিলেছে ঘোতন আর পপিন্সের। যার ক্য়াপশানে লেখা হয়েছে 'রহস্য ছিল লুকিয়ে, গ্রামের মেঠো পথে, তার কাহিনি পৌঁছবে, এবার গল্পের ছায়াপথে!
হ্য়াঁ, ঠিকই বুঝেছেন এই গল্পে আরও একবার ঘোতন, পপিন্স হয়ে দেখা মিলবে মহাব্রত বসু ও অনুমেঘা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সৌকর্ষ ঘোষালের এই সিনেমার গল্পে দেখা যাবে ঘোতন হঠাৎ একদিন পেয়ে যায় একটা পক্ষীরাজের ডিম। তারপর? সেই ডিমকে কীভাবে যে রক্ষা করবে সে? সবরকম বাধা বিপত্তি কীভাবে পার করবে? সেই নিয়েই ছবির গল্প। গোয়েন্দা ও থ্রিলারের যুগে, এক্কেবারে রূপকথার কীভাবে জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ছোটদের ছবি?
এর আগে এই ছবির বিষয়ে Hindustan Times Bangla-কে পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল জানিয়েছিলেন, ‘এই সিক্যুয়েলে ঘোতন আর পপিনস আসছে। আর পরীপিসি তো স্বপ্নে এসেছিল, আর একই স্বপ্ন তো বারবার আসে না। আর গণ্ডারিয়া মামা তো মারা গিয়েছে। আর অনাদিদা ওখানেই আছেন, কারণ ওখানেই ওঁর চায়ের দোকান, আর কাবুলিও কলকাতার। তবে এই গল্পটা একটা গ্রামের গল্প। রেনবো জেলির পর ঘোতন (মহাব্রত বসু) তো গেল উকিলের সঙ্গে। এরপর পর থেকে গত ৫ বছর ঘোতনের জীবন কীভাবে কেটেছে, আর সে এখন কীভাবে আছে, সেটা নিয়েই পক্ষীরাজের ডিমের গল্প।’
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অভিনয় প্রসঙ্গে সৌকর্য বলেন, ‘অনির্বাণ হলেন এখানে ঘোতনের মেন্টর। ঘোতনের মায়ের স্বপ্ন ছিল ওঁর ছেলে বিজ্ঞানী হবে। আর ঘোতন যে গ্রামে এখন থাকে, সেখানে ওর সঙ্গে একটা খ্যাপাটে বিজ্ঞানীর আলাপ হয়, সেই হবে ঘোতনের মেন্টর।’
সিনেমার গল্পে গল্পে ঘোতন সমস্যায় পড়লে সে তাকে সাহায্য করতে আসে পপিন্স (অনুমেঘা বন্দ্যোপাধ্যায়)। পপিন্স অবশ্য কলকাতার স্কুলে পড়ে। এখানে শ্যামল চক্রবর্তী অভিনয় করছেন বিজ্ঞানী বটব্যলের (অনির্বাণ) অ্যাসিসটেন্টের চরিত্রে। এছাড়াও এই ছবিতে রয়েছেন ব্লাইন্ড অপেরা থিয়েটারের শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবং অনুজয় চট্টোপাধ্যায়। এই ছবির শ্যুটিং অবশ্য দু'বছর আগেই হয়ে গিয়েছিল। তবে নানান জটিলতায় মুক্তি আটকে ছিল।
জি স্টুডিও এবং SVF- নিবেদিত এই ছবির মিউজিক করছেন নবারুণ বসু। ক্যামেরায় রয়েছেন সৌমিক হালদার আর ক্রিয়েটিভ ডিরেকশন এবং কস্টিউম ডিজাইনে পূজা চট্টোপাধ্যায়।