বাংলাদেশে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিল ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ডাকে সমাবেশ। যে ছাত্র-গণ আন্দোলন 🧸শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মসনদচ্যুত করেছে, সেই জুলাই-আন্দোলনের ঘোষণাপত্রের দাবিতে এবার সুর চড়িয়ে বাংলাদেশের অন্তরবর্তী ইউনুস সরকারের কাছে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন ছাত্রনেতারা। বৈষম্য়বি🌄রোধী ছাত্র আন্দোলন আর নাগরিক কমিটির নেতারা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করতে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন ইউনুস সরকারের জন্য। এদিনও আওয়ামি লিগের বিরোধিতা শোনা যায় ছাত্রদের মুখে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এদিন আওয়ামি লিগের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, যারা সচিবালয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনাদের আম্মু আর দেশে ফিরবে না, আমরা যাকে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়েছি, সেই খুনি হাসিনা আর ফিরবে না। হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আওয়ামি লিগের বিপক্ষে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে আমাদের সংগ্রাম জারি থাকবে। তিনি বলেন,'আওয়ামি লিগের বিপক্ষে, মুজিববাদীদের বিপক্ষে, যারা এমন ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করেছে, তাদের বিপক্ষে আমাদের এই লড়াই জারি থাকবে।' তাঁর বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুর চড়া করে তিনি বলেন, 'আপনাদেরౠ সঙ্গে আবার দেখা হবে ১৫ জানুয়ারিতে আমাদের ঘোষণাপত্র নিয়ে।' এই ১৫ জানুয়ারি দিনটির মধ্যে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণার জন্য ইউনুস সরকারের কাছে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন ছাত্র নেতারা।
উল্লেখ্য, ৩১ ডিসেম্বর এই সমাবেশ থেকেই ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যে ঘটনার সঙ্গে সরকারের সম্পৃক্ততা নেই বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ইউনুস সরকার। এরপর সোমবার সরকারের পক্ষ থেকে শিগগিরই ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়। এরপর আজকের এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয় ‘মার্চ ফর ইউনিটি’। ঢাকার কে☂ন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সেই উদ্দেশেই জড়ো হন বহু ছাত্র, পড়ুয়া।
এদিন হাসনত আবদুল্লা বলেন,‘এত দিন পর্যন্ত আমাদের এই জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র ছিল না। আমরা বলতে চাই, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আমাদের এই জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে।’ এর আগেও এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁরা বলেন, এই জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র আগে🌠ই প্রকাশিত হবে বলে তাঁরা আশা করেছিলেন। এদিকে, আজ মঙ্গলবার, উপস্থিত ছাত্রনেতাদের প্রতি ডাক দিয়ে হাসনত বলেন, ‘এই ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আপনারা জেলায় জেলায়, পাড়া–মহল্লায় এই ঘোষণাপত্রের পক্ষে মান𝓰ুষের কাছে যাবেন, মানুষের কথা শুনবেন। তারা কী বলতে চায়, সেই কথাগুলো উঠিয়ে নিয়ে আসবেন।’সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে, আগামীতে যে ঘোষণাপত্র আসবে, সেখানে প্রত্যেক শহীদের রক্তের ফোটার কথা উল্লেখ থাকতে হবে। যদি আমরা সে কথাগুলো না পাই, তাহলে বাংলার চব্বিশের বাঘের বাচ্চারা, বাঘিনীরা তা মেনে নেবে না। ঘোষণাপত্রে ৫৩ বছরে যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে, তা সংস্কারের ইঙ্গিত থাকতে হবে, বলেও কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারি হুঁশিয়ারি দেন।